চরফ্যাসন প্রতিনিধি॥ চরফ্যাসনে ২১ মামলার পলাতক আসামী শীর্ষ সন্ত্রসী মুরাদ হোসেন মুন্নাকে আরোও একটি চাঁদাবাজী মামলায় বিভিন্ন ধারায় ১৭ বছর এক মাস ও মামলার অপর আসামী তার ভাই মো. রাজিবকে ৩ বছর ১ মাসের কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার অপর ৫ আসামী আজিজ, সহিদ, ফিরোজ, লিটন,ও ফজলুর রহমান বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চরফ্যাসন অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামী মুরাদ হোসেন ও রাজীব আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। মামলার বিবরণে জানা যায়, মামলার বাদী ইউসুব নুরাবাদ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডস্থ হাজির হাট বাজারের স‘মিল ব্যবসা করে আসিলেন। ২০১৪ সনে নভেম্বর মাসে আসামী মুরাদ হোসেন ও তার ভাই রাজিবসহ তার সহযোগিদের নিয়ে তার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন। আসামীদের দাবীকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় ২০১৪ সনের ২৪ নভেম্বর রাতে ইউনিয়নের হাজিরহাট বাজার এলাকায় আসামীরা তাকে মারধর করে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এঘটনায় ওই রাতেই স‘মিল মালিক মো. ইউসুব বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামী করে চরফ্যাসন থানায় চাঁদাদাবী ও মারধর করে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানীর পর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সেশন-২৭৬/১৭ চাঁদাবাজী মামলার অভিযোগ সাক্ষ্যপ্রামণে চাঁদা দাবি সন্দেহতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ বিচারক নুরুল ইসলাম আসামী মুরাদ হোসেন ও তার ভাই রাজিবের বিরুদ্ধে এ রায় ঘোষণা করেন। মুরাদ হোসেন ও রাজীব দুলারহাট থানার আহম্মদপুর ইউনিয়নের আবুল বাসার চাপরাশীর ছেলে। বিজ্ঞ বিচারকের এ রায়ে সন্তষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী মো. ইউসুবসহ এলাকাবাসী। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোঃ মোজাম্মেলহক জানান, আলোচিত ২১ মামলার পলাতক আসামী মুরাদ হোসেন ও তার ভাই রাজিব কুখ্যাত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে চরফ্যাসন উপজেলার বিভিন্ন থানায় চাঁদাবাজী, ডাকাতি, ধর্ষণ প্রতারনাসহ মোট ২১টি মামলা চলমান রয়েছে। গত বছরের ১৬ নভেম্বর অপর একটি চাঁদাবাজী মামলায় চরফ্যাসনের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম মুরাদকে বিভিন্ন ধারায় ১৭ বছর ১ মাসের সাজা ও তার ভাই রাজিবের ৩ বছর ১ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেছেন। মুরাদ পলাতক রয়েছেন।
Leave a Reply